ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়া মৎস্যজানে নিরাপদ পরিবেশে পরিকল্পিত মৎস্যচাষ নিশ্চিত হলে শতকোটি টাকা আয় সম্ভব -সাঈদী

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::  চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় উপজেলা মৎস্য বিভাগের আয়োজনে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং জলাশয়ে জীবিত সুস্থ-সবল প্রজাতির মাছের পোনা বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা পরিষদের পুকুরে মাছের পোনা অবমুক্ত ও বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। বিতরণ কার্যক্রম তত্তাবধানে ছিলেন চকরিয়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বেনজির আহমেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান ও উপকারভোগী মৎস্যচাষীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাছের পোনা বিতরণকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, সুস্থ-সবল ও মেধাসম্পন্ন জাতি গঠনে মৎস্য খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মৎস্যচাষ ক্রমাগতভাবে জাতীয় অর্থনীতিতে সম্ভাবনাময় সেক্টরের ভূমিকা রাখছে। বলা যায় বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি মৎস্যসম্পদ উন্নয়নের ওপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল।

তিনি বলেন, দেশে যত মাছ উৎপাদন হবে ততো বেশি মৎস্যজীবিরা লাভবান হবে। বর্তমান সরকার দেশের মৎস্য খাতের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন ও রপ্তানী আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছেন। মৎস্য খাতের এই অনন্য সফলতা ধরে রাখতে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।

অনুষ্ঠানে চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেছেন, পরিকল্পিত মৎস্যচাষে জাতীয় অর্থনীতির চাকা যেমন গতিশীল হচ্ছে, তেমনি চাষের সঙ্গে জড়িতরা হচ্ছেন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বি। সারাদেশের মধ্যে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলাটি মৎস্যভান্ডার হিসেবে পরিচিতি। এখানে আছে হাজার হাজার একর চিংড়িজমি। সরকার প্রতিবছর চিংড়িজোন থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করছেন। পাশাপাশি মৎস্যজীবি এবং চাষের সঙ্গে নিয়োজিতরা বছরে শতকোটি টাকার আয় করছেন।

তিনি বলেন, উপজেলার চিংড়িজোন বর্তমানে নানাধরণের সমস্যায় জর্জরিত। যোগাযোগ ব্যবস্থার নাজুকতা এবং আইনশৃঙ্খলা দেখভালে চরম দৈন্যদশা চলছে। এধরণের পরিস্থিতিতে চাষের পরিধি বাড়ানো প্রতিবন্ধকতার অভিযোগ আছে চাষীদের। সরকারের রাজস্ব ও চাষীদের আরো উন্নতিসাধনে মৎস্যজোনের সোনালি সুদিন ফেরাতে হবে। সেইজন্য এখানে সরকারি তরফথেকে পরিকল্পিত এবং নিরাপদ পরিবেশে মৎস্যচাষ নিশ্চিত করতে হবে। #

 

পাঠকের মতামত: